ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির বদলী হওয়া সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

oniyom durnitiনিজস্ব প্রতিবেদক :

পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিস নাজিরের দখলে হওয়ায় সেবা নিতে আসা মানুষের মাঝে ভোগান্তির শেষ নেই। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সেবা নিতে আসা মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ অসাধু দূর্নীতিবাজ কর্তাব্যক্তি ওই ওমেদার বিশ্বজিৎকে ঠাঁই দিয়ে তাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পেকুয়া উপজেলায় বিগত ২০১৩ সালে উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদান করার পর হইতে নাজিরের দায়িত্বে থাকা বাবু অর্জ্জুন কুমার দত্ত বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির যেন শেষ নেই। এমনকি পেকুয়া উপজেলার অসহায়, নিরীহ ব্যক্তিদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার হাতিয়ে নিয়ে রেকর্ডরুমের নথি আদান-প্রদান করে থাকে। একটি ডিসিআর কাটতে সরকারি পাওনা থাকে ১১শ টাকা। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে নাজির অর্জ্জুল কুমার দুই থেকে তিন হাজারের বেশী টাকা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই ভাবে নথি উত্তলনের ক্ষেত্রে ৫শ টাকা হলেও এর তার বদলে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। আবার চাহিদা মত টাকা না দিলে কেস ফাইল গায়েভ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও এখানে অকেটাই স্বাভাবিক। আর ফাইল একবার হারিয়ে গেলে খুঁজে বের করতে আবার হাজার টাকা গুনতে হয়। এমনকি বিভিন্ন দালালদের সাথে আতত করে ভূমি অফিসকে দূর্নীতির আখড়া করে তুলেছে। যাহার ফলে তার এই ধরনের দূর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তাকে বিগত ২৮/০৫/২০১৪ইং তারিখ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (সংস্থাপন শাখা), কক্সবাজার হতে স্মারক নং- ০৫.২০.২২০০.১০৮.০৩.০০২.২০১৩-২৩২ মূলে ইউএনও অফিস, পেকুয়ায় বদলী করা হলেও সে পূর্বের মত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে উৎকোচের বিনিময়ে স্বপদে বহাল থেকে অনিয়ম, দূর্নীতি, ঘুষবানিজ্যের মাত্রা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উক্ত অভিযুক্ত দূর্নিতীবাজ নাজির প্রতি রবিবার অফিস না করে তার ইচ্ছেমত অফিসে এসে তার দায়িত্ব অবহেলায় প্রতিনিয়ত লোকজনকে হয়রানীর সম্মুখীন হচ্ছে। প্রচলিত সরকারী নিয়ম অনুযায়ী অফিস আরম্ভ হলেও সে দুপুর ১২ টায় এসে বিকাল ৩ টায় অফিস ত্যাগ করে চলে যায়। তার কাছে রক্ষিত রেকর্ডরুমের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র রক্ষিত থাকলেও সে তার ইচ্ছামত ব্যবহার করিয়া থাকে। রাজাখালী ইউনিয়নের জনৈক আবদু ছত্তার (মলই সত্তার)সহ বেশ কয়েকজন দালাল নিয়ে অফিসের কাজ সম্পাদন না করে আড্ডায় লিপ্ত থাকে। তার এহেন ঐদ্বত্যপূর্ণ দায়িত্ব অবেহলা, দূর্নীতির সীমা নেই। সেবা প্রত্যাশী অফিসে আসা স্থানীয়রা জানান, আমরা অনেক দুর-দূরান্ত থেকে কষ্টের বিনিময়ে উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট আসিলেও সে আমাদের কোন কাজ না করিয়া অফিস চলাকালীন সময়ে ছত্তার ও বিশ্বজিৎ কে নিয়া আড্ডা মশগুল থাকে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক ব্যক্তি বলেন, বিশ্বজিৎ একজন উমেদার হয়েও রেকর্ডরুমে প্রবেশ করে আমার নিকট হতে অর্জ্জুন বাবুকে টাকা দিতে হবে বলে ৪ হাজার টাকা নিয়া ২টি নথি প্রদান করেন। পরে উক্ত নথিগুলো আমার বিবাদীকেও ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দিয়া দেয়। অফিসের মূল্যবান কাগজপত্রাদি জালিয়াতি, শোষণ, হয়রানী, অনিয়ম, দূর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য সহ আর কত অপরাধ করলে এদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ বিহীত ব্যবস্থা নেবে এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পেকুয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। এবিষয়ে অর্জুন বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন লিখলে কিছু যায় আসেনা; এমন দম্ভোক্তি দেখায় অর্জ্জুন। দুই টাকার পত্রিকায় লেখালেখি করে আমাকে কিছুই করতে পারবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: